বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিশ্ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়োজনে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নিতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর দীর্ঘ তিন বছর পর ভাষার মাসের প্রথম দিনে পর্দা উঠল মাস ব্যাপী অমর একুশে বইমেলার। বুধবার বিকালে বাঙালির ‘প্রাণের এ মেলা’র ৩৯তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করতে বাংলা একডেমিকে তাগিদ দিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় সাহিত্য, সংস্কৃতি পাশাপাশি খেলাধুলার বিকাশ বাড়ছে।
সরকার প্রধান বলেন, কয়েক বছরের জন্য অনির্বাচিত সরকার আসলে অশুদ্ধ হয়ে যাবে সংবিধান। দেশের স্থিতিশীলতা কারো ভাল না লাগলে, কিংবা কেউ যদি ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদের নির্বাচনে আসার পরামর্শ দেন। এছাড়া প্রধানমন্তী জানান গরীব ও সাধারণ মানুষের সুবিধায় সরকার কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে তবে গ্যাস কিংবা বিদ্যুতে ভর্তুকি দিয়ে ধনীদের বিশেষ সুবিধা দেবে না।
এবারের মেলায় সরকারি-বেসরকারি ছোট বড় মোট ৬০১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিবছরের মতো উদ্যান অংশে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান, প্রচার কার্যক্রমের জন্য একাডেমিতে ১টি ও উদ্যানে ২টি তথ্যকেন্দ্র থাকবে। সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য আদান-প্রদানের সুবিধার্থে উদ্যান অংশে একটি মিডিয়া সেন্টার থাকবে।
বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্তসংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বইমেলা। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। অন্যদিকে ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।