স্টাফ রিপোর্টার:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার ভুজইল এলাকায় যাত্রা শুরু করে শোয়া ফাউন্ডেশন। এলাকায় গ্রাহকদের আমানতের টাকা নিয়ে ফেরত না দিয়েই লাপাত্তা হয়েছে এনজিও শোয়া ফাউন্ডেশন। কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। টাকা ফেরতের পাশাপাশি অর্থ আত্মসাতে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
শোয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনিয়োগে মোটা অংকের লাভের কথা বলে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে । প্রথম দিকে কিছু মানুষকে সময়মতো সুদের টাকা দিয়ে আস্থা অর্জন করেন অন্যদের। তারপর ধীরে ধীরে গ্রাহদের টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন শোয়া ফাউন্ডেশন। লাভের আশায় এলাকার কৃষক, শ্রমিক, দোকানদার, ক্ষুদ্রব্যবসায়ীসহ অনেকেই প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা রাখেন শোয়া ফাউন্ডেশনে। কিন্তু হঠাৎ করেই শোয়া ফাউন্ডেশন গ্রাহরদের আমানতের টাকা ফেরত দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ হারিয়ে দিশেহারা মানুষ। ভুক্তভোগীরা তাদের গচ্ছিত টাকা ফেরত চান। টাকা ফেরতের পাশাপাশি জড়িতদের বিচারের দাবি করেন ভুক্তভোগীরা। বর্তমানে শোয়া ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন। যারা এভাবে অন্যের আমানতের টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনান দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। একজন ভুক্তভোগী রায়হান জানান অনেক কষ্ট করে ২ লক্ষ টাকা জমা করেছিলাম। জমানো সেই ২ লক্ষ টাকা শোয়া ফাউন্ডেশনে আমানত হিসেবে জমা দেয় কিছু লাভের আশায়। লাভসহ মুল টাকা ফেরত চাইতে গেলে আজ দিবো কাল দিবো বলে তালবাহানা করে সময় কাল ক্ষেপন করতে থাকে। এখন শোয়া ফাউন্ডেশনের সকলে লোকজন অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।