অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমানে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার ১৫৩। এক লাখ জীবিত সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ১৫৩ জন মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ প্রকাশ করে ব্যুরো। এতে সর্বশেষ মাতৃমৃত্যুর হার ও মাতৃমৃত্যুর কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
গর্ভাবস্থা, প্রসবকাল ও প্রসবের পর ৪২ দিনের মধ্যে মায়ের মৃত্যু হলে তা মাতৃমৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মাতৃস্বাস্থ্য ও মাতৃমৃত্যু নিয়ে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ (নিপোর্ট) প্রতিষ্ঠানের মাতৃস্বাস্থ্য জরিপের প্রতিবেদন থেকে। সারা দেশের সব জেলার শহর ও গ্রামের তিন লাখের বেশি খানার ওপর জরিপ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
সর্বশেষ মাতৃস্বাস্থ্য জরিপ হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই জরিপে মাতৃমৃত্যুর হার ১৯৬ পাওয়া গিয়েছিল। সরকার ওই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ স্থগিত রেখেছিল দুই বছরের বেশি। প্রাথমিক প্রতিবেদন নিপোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার পর তা আবার সরিয়ে ফেলা হয়। সরকারের বক্তব্য ছিল, জরিপে মাতৃস্বাস্থ্যের বাস্তব পরিস্থিতির প্রতিফলন হয়নি। বিবিএসের হিসাবে দেশে তখন মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ১৭৮।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৭০-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসেবে হাতে সময় আছে ছয় বছর।