অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ। উদ্ধারকাজ চলছে।
তবে জীবিত উদ্ধারের আশা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্লান হয়ে আসছে। নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি হতে পারে মনে করছেন জাতিসংঘের জরুরি ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস।
তিনটি উদ্ধারকারী দল বিবিসিকে জানায়, গত সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর দক্ষিণ তুরস্কে তারা নিরলস উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।
জার্মান উদ্ধারকারীরা ও অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনী শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অনুসন্ধান অভিযান স্থগিত করে। কারণ হিসেবে তখন অজ্ঞাত গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করা হয়।
একজন উদ্ধারকারী বলেন, খাদ্য সরবরাহ কমে যাওয়ায় নিরাপত্তা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত ৫০ জনকে লুটপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি বন্দুকও জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, কেউ আইন ভঙ্গ করলে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের মরদেহ উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ব্যবস্থাপক রবার্ট হোল্ডেন বলেছেন, বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে ভয়াবহ অবস্থায় বসবাস করছে। আশ্রয়, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন তারা। এ পরিস্থিতি আরেকটি বিপর্যয় ডেকে আনবে, যা ভূমিকম্পের চেয়েও আরও বেশি মানুষের ক্ষতি করবে। উল্লেখ্য, গত সোমবার ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।