অনলাইন ডেস্ক:
দেশের নাগরিকের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
একইসঙ্গে নাগরিকের তথ্য ফাঁসের কাজে যদি কেউ সহায়তা করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার ৯ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে নিরাপত্তাবিষয়ক আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে। আমাদের আগে দেখতে হবে কী ফাঁস হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। তবে এ বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেভাবে কাজ করার মতো উপাদান এখনো হাতে পায়নি।
দায় এড়ানোর সুযোগ নেই:পলক
হ্যাক নয়, বরং সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রোববার ৯ জুলাই সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এ সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ওয়েবসাইটের দুর্বলতার কারণে যেকেউ ব্যক্তিগত তথ্য দেখার সুযোগ পেয়ে যান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
এনআইডি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ শাখার পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এনআইডির সিকিউরিটি বিষয়ে আজ রোববার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে এনআইডির মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে কথা বলবেন মহাপরিচালক।
ইসি জানিয়েছে, বাংলাদেশের পাঁচ কোটিরও বেশি নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, গুগলে সার্চ করে যেকেউ ওয়েবসাইটে ঢুকে পাঁচ কোটি নাগরিকের নাম, জন্মতারিখ ও এনআইডি নম্বর দেখতে পারছেন। তবে বিষয়টি জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) সার্ভার থেকে হয়নি।
সরকারের সাইবার ইস্যু দেখভালকারী প্রতিষ্ঠান বিজিডি-ইগভ সার্ট শনিবার ৮ জুলাই সিচ্যুয়েশনাল অ্যালার্ট জারি করেছে। সার্ট বলছে, ডেটা সুরক্ষায় নিয়মিতই কাজ করছে তারা। সরকারের এই সংস্থা থেকে নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মাধ্যমে সাইবার মনিটরিং করা হয় এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হয়। সার্ট বলছে, সম্প্রতি তথ্য ফাঁস ইস্যুতে কাজ করছে তারা।
সাউথ আফ্রিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপাওলোস দাবি করেন, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে দেশের লাখ লাখ নাগরিকের নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচিতি নম্বরসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।