স্টাফ রিপোর্টার:
সামাজিক মাধ্যমে ধর্ষণের ভিডিও শেয়ার করায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসিফ মানশ্রী গ্রামের মো. ফেরদৌস খানের ছেলে।
উপজেলার মানশ্রী গ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারের পর শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে টিকটক ও ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেছে সে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি আইনে ওই যুবকের বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসিফ ও ওই ছাত্রী একই গ্রামের। মেয়েটিকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত ও কু-প্রস্তাব দিতেন আসিফ। এ বিষয়ে আসিফের পরিবারের কাছে নালিশ দিলে আসিফ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
একপর্যায়ে গত ১২ জুন ওই ছাত্রীকে হাত-মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে তুলে নিয়ে যায় আসিফ। নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
শেষে গত ৫ জুলাই আসিফ তার ফোনে তোলা সেই ভিডিও ভুয়া ফেসবুক ও টিকটক একাউন্ট তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ আসিফকে গ্রেপ্তার করে।
তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে ভিন্ন কথা। ওই ছাত্রীর সাথে কয়েক বছর ধরে আসিফের নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের জেরেই তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘটনা জানার পর ছেলের পরিবার বিয়ে করাতে রাজি হলেও এতে মেয়ের পরিবার রাজি হয়নি। এরই জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে হয়তো আসিফ ওই ঘটনা ঘটাতে পারে।
তবে ঘটনার পরপর মীমাংসা করার জন্য একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। তারা আরও জানান, কারও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নষ্ট করার অধিকার নেই আসিফের।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার পরপরই আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।