স্পোর্টস ডেস্ক:
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ১১ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। বাংলাদেশি ফুটবলার ও সমর্থকরা দেখা করতে পারেনি মার্টিনেজের সঙ্গে। বাংলাদেশ ফুটবলের অধিনায়ক তো এয়ারপোর্টে অপেক্ষা করেও দেখা করতে পারেননি। এ নিয়ে আয়োজকদের ওপর বেজায় ক্ষেপেছিলেন ভক্ত ও সমর্থকরা।
বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি মার্টিনেজেরও। কোলকাতা থেকে চলে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ফুটবল অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে একটা জার্সি রেখে গেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা।
যদিও জামাল সেই জার্সি এখনো হাতে পাননি বলে গতকাল বিকালে জানিয়েছেন। জামাল বলেন, ‘আমি লিগের খেলায় ছিলাম। আমাদের ম্যাচ ছিল। জার্সির কথা জানি না। কোনো জার্সি পাইনি।’ এরপর কলকাতা থেকে ঢাকায় জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়া উদ্যোক্তা ভারতের শতদ্রু দত্ত। কীভাবে কখন এই জার্সি জামালের হাতে তুলে দেওয়া যায়-তা নিয়ে কথা হয়েছে।
বাংলাদেশের ফুটবল অধিনায়কের সঙ্গে এমিলিয়ানোর কথা হয়নি বলে শতদ্রু কলকাতা থেকে বিনয়ের সঙ্গে দুঃখই প্রকাশ করলেন। বলছিলেন আসলেই আমি জানতাম না। কেউ যদি আমাকে বলে রাখতেন তাহলে একটা ব্যবস্থা করা যেত। বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই জামালের সঙ্গে বসিয়ে দেওয়া যেত।’ কথাগুলো বলতে বলতে অনেক কথাই তুলে আনলেন শতদ্রু। তিনি বাংলাদেশে এমিলিয়ানোকে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কী কারণে? সেটা জানতে চাইলে শতদ্রু বললেন, ‘আমার বউয়ের (স্ত্রী ইন্দ্রানী দত্ত) দেশ ফরিদপুর। বিয়ে করেছি বাংলাদেশের মেয়েকে। শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর। এই টান কাজ করে। এমির কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। আমি করে নিয়েছিল। আমি না চাইলে হতো না।’ জামালের বিষয়ে শতদ্রু বলেন, ‘আমাকে কেউ একজন বলেছিল, কিন্তু ভিড়ের মধ্যে আমি ততটা বুঝতে পারিনি। পরে ছবি দেখে মনে হচ্ছে চিনেছি। ’ বাংলাদেশ ফুটবল দলের স্টাফ মহসীন বললেন, ‘গাড়িতে বসা ছিলেন মার্টিনেজ। গাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে একজন। আমি উনাকে বাংলাদেশ টিম ক্যাপ্টেনের কথা বলেছি। মার্টিনেজও আমার কথা (ইংরেজি) শুনে জামালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।’ শতদ্রু বললেন, ‘আমাকে কেউ একজন বলছিলেন। ওখানে অনেক ভিড় ছিল। নিরাপত্তার বিষয় ছিল। উনি (জামাল ভূঁইয়া) নাকি দাঁড়িয়ে ছিলেন। যা হোক, আমি আগে জানলে করে দিতাম। কাউকে অসম্মান করার ইচ্ছে আমার নেই।’ শতদ্রু বলেন, ‘এমিকে বলেছি জামালের কথা। সেই একটা জার্সিতে জামালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ’