স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিটি নির্বাচন। ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে মহানগর দুটিতে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। দিন-রাত গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
রাজশাহী নগরীর অলি-গলিতে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্য প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নগর উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি।
অন্যদিকে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। জয়ী হতে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে খুলনা ও বরিশালে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল ভোটে না থাকায় মহানগর দুটিতে নির্বাচনী উত্তেজনা তেমন ছিল না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে একটি ভূমিকা রাখছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। চরমোনাই পীরের মুরিদ আর ভক্তদের ‘ভোট ব্যাংকে’ ভর করে খুলনা ও বরিশালে তাদের প্রার্থীই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে।
কিন্তু সোমবার বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর ওপর হামলার পর দলটি ফল প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি সিলেট ও রাজশাহী থেকেও তাদের প্রার্থী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
ফলে সিলেট ও রাজশাহীর নির্বাচনী হাওয়া থেকে হাতপাখার সরে দাঁড়ানোয় ভোটের আমেজ আর কতটুকু থাকবে এবং শেষ পর্যন্ত কত সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে যাবেন, তা প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
রাজশাহীতে এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এর আগে তিনবার নির্বাচন করে বিএনপির প্রার্থীকে দুইবার হারিয়ে মেয়র হয়েছেন।
তিনি ২০১৮ সালে যখন দ্বিতীয়বার মেয়র হন, তখন রাজশাহীতে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০১৩ সালে যখন পরাজিত হন, তখন ভোটের হার ছিল ৭৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এর আগে ২০০৮ সালে যখন প্রথমবার মেয়র হন, তখন ভোট পড়েছিল ৮১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
খুলনা-বরিশালের নির্বাচনের দিন ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ৭০ ভাগ ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। সেটা আমরা করতে পারলে সব ক্ষেত্রে; যেমন- বিএনপিকে মোকাবেলা করা হল।
অপরদিকে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আট জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মূলত আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর পাঁচ প্রার্থী হচ্ছেন জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র মো. আবদুল হানিফ কুটু, মো. শাহ জামান মিয়া, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
সিলেট সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মোট কেন্দ্র ১৯০টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৩৬৪টি।
রাজশাহীতে মোট ভোটার তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে এবার ৩০ হাজার ১৫৭ জন তরুণ-তরুণী প্রথম ভোটার হয়েছেন। গত বছর মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার।