রাজনৈতিক ডেস্ক:
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ইভিএমে আজ রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শুরুর পর কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।
আবার কোথাও ফাঁকা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়ার আশা করছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি মনোনীতসহ চারটি রাজনৈতিক দলের চারজনসহ মোট ছয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। ভোটগ্রহণকালে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলা হয়েছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
নগরের নিউ টাইগারপাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারদের লম্বা লাইনেই বোঝা যাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো। বিগত নির্বাচনগুলোর মতো এ নির্বাচনেও আমরা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
এক প্রশ্নের জবাবে নৌকার প্রার্থী বলেন, আমি কখনোই শঙ্কা প্রকাশ করি নাই। সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে।
কেন্দ্রে ভোটার আনতে তার দল অতীতের মতো এ নির্বাচনেও কাজ করেছে বলে জানান আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন কমিশন থেকে নিবিড় মনিটরিং করা হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকেও মনিটরিং চলছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের মাঠে আছেন আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ২৪ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত চারটি রাজনৈতিক দল মনোনীত চারজন প্রার্থীসহ মোট ৬ জন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপি মনোনীত দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত রশিদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভূইঁয়া (রকেট) ও মোহাম্মদ আরমান আলী (বেলুন)।
জানা যায়, উপনির্বাচনে ১৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ হাজার ৩১৪ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৬২৮ জন পোলিং অফিসার ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন।
নগরের পাঁচলাইশ, ডবলমুরিং ও পাহাড়তলী থানার ৮টি ওয়ার্ড নিয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসন। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা যায়, আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন, হিজরা ভোটার ২৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৫৬টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৫১।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের টানা তিনবারের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুজনিত কারণে শূন্য হওয়া আসনটিতে আজ উপনির্বাচন হচ্ছে।