স্টাফ রিপোর্টার:
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এদিকে, লালমনিরহাটে তিস্তার পানি এখনো বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। দুধকুমার নদীর পানি ৪২ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানিও। দুধকুমার নদীর পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় সড়ক তলিয়ে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বিশুদ্ধ পানি ও খাবারোর অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন বন্যার্তরা। নষ্ট হয়ে গেছে ফসল ও শাক-সবজি।
এদিকে, লালমনিরহাটের ধরলার পানি কিছু কমে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্যারেজের ভাটিতে থাকা জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদরসহ চার উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো এখনও তলিয়ে আছে। এতে জেলার ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
তলিয়ে গেছে ধান, পাট, ভুট্টাসহ সবজি খেত। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।