স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (৮ জুলাই) প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ এ বছরের সেপ্টেম্বরে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে তিনটি ধাপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রথম অংশের বনানী পর্যন্ত ৯৭ শতাংশ, বনানী থেকে মগবাজার অংশে ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত শেষ অংশে ভৌত কাজ শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের সর্বমোট কাজ শেষ হয়েছে ৬৩ শতাংশ।
পুরো প্রকল্প শেষ হলে রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।
রাজধানীর আশেপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রকল্প থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ তুলবে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে। এজন্য তারা পৃথক টোল প্লাজা স্থাপন করবে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ প্রকল্পে ৩১ র্যাম্প বিশিষ্ট চার লেনের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে। আর এক্সপ্রেসওয়ের র্যাম্পসহ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ। বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত প্রথম ধাপে প্রকল্পের ভৌত কাজের অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এক হাজার ৪৮২টি পাইল, ৩২৬টি পাইল ক্যাপ, ৩২৫টি কলাম, ৩২৫টি ক্রস-বিম, ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৪৮টি আই গার্ডার এবং ৩২৮টি ব্রিজ ডেক স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।