বাণিজ্যিক ডেস্ক:
দেশের বিভিন্ন জেলায় এখনও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, কারসাজি না হলে ভারত থেকে আমদানির পরও কাঁচা মরিচের দাম এত বাড়তি থাকতো না। তারা আরও অভিযোগ করেন, মনিটরিং না থাকায় বাজারের এই দুর্গতি।
মানিকগঞ্জের পাইকারি বাজারে ভারতীয় দুই ধরনের কাঁচা মরিচের আমদানি হয়েছে। প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে সেগুলো ২৫০ ও ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা থেকে ৪২০ টাকায়।
বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না, অভিযোগ ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা পাইকারি বাজারেই তো দাম কমেনি তারা কম দামে কীভাবে মরিচ বিক্রি করবেন?
ক্রেতারা বলেন, ভারত থেকে মরিচ আসার পরেও দাম কমেনি। কারসাজি করে বিক্রেতারা বেশি দাম নিচ্ছে।
তবে বিক্রেতাদের দাবি, তারা পাইকারি মরিচ কেনেন ৩০০ টাকা এবং বিক্রি করেন ৩৬০ টাকা। পাইকাররা দাম না কমালে তাদের দাম কমানোর সুযোগ নেই।
চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউরীর কাঁচাবাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। এখানেও ব্যবসায়ীরা পাইকারদের দোষ দেন।
বিক্রেতা বলেন, সকালে চারশ’ টাকার মরিচ তারা পাইকারদের থেকে দুপুরে পাঁচশ’ টাকায় কেনেন। তাই বাধ্য হয়েই তাদের বেশি দামেই মরিচ বিক্রি করতে হয়।
অন্যদিকে মোংলার বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। যে কারণে মরিচ কিনতে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।
তারা জানান, প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি না থাকায় বাজারে মরিচের এই বাড়তি দাম।
ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেট থাকায় মোংলা বাজারের মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের এদিকটায় নজর দেওয়া উচিত।