আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বিবেচনা করছে দেশটির সরকার।
বুধবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ রাষ্ট্রের ভিত্তির ওপর আক্রমণের জন্য পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টিকে (পিটিআই) অভিযুক্ত করে বলেছেন, এটা সহ্য করা হবে না।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইমরান খানের গ্রেপ্তারের ফলে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সরকারি ভবন ও সামরিক কম্পাউন্ডে ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনার পর পিটিআইয়ের হাজার হাজার সমর্থক ও দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করা হয়েছে।
দল নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে ইমরানের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে তিনি ওই সহিংসতার বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার উদ্দেশ্য ভারতের হতে পারে তবে পাকিস্তানের নয়।
পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, ‘তবে আমরা অবশ্যই পিটিআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করছি’।
খাজা আসিফ বলেন, ৯ই মে’র ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি, বরং পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার, সদর দপ্তর, গুজরানওয়ালা সেনানিবাস এবং মিয়ানওয়ালিতে বিমানঘাঁটিসহ অন্যান্য স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ইমরান খান সেনাবাহিনীকে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেন। তার পুরো রাজনীতিই একসময় বসে থাকতো সেনাবাহিনীর কোলে এবং আজ হঠাৎ করেই তিনি এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পিটিআইয়ের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আলী জাফর বলছেন, পিটিআইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও, সুপ্রিম কোর্ট এধরনের পদক্ষেপকে ‘এক দিনের মধ্যে বাতিল এবং অকার্যকর’ ঘোষণা করতে পারে, কারণ পাকিস্তানে কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না।
সুপ্রিম কোর্টের বাইরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি ষাটের দশকে জামায়াত-ই-ইসলামীর ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অ্যালভিন রবার্ট কর্নেলিয়াস যেটিকে বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘নাশকতা যা হয়েছে, সেটি ছিল ব্যক্তিগত কাজ…তার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না। যদি এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়, তবে আমার বিশ্বাস যে এই একই আদালত একদিনের মধ্যে তা বাতিল ঘোষণা করবে’।