অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাসে শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেছিলেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকেরা। তবে আশ্বাস অনুযায়ী দেখা না মেলায় এবং দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বাগান গেটে শুরু হয় এই আন্দোলন। রোববার (১৬ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বটতলায় চিকিৎসকেরা অবস্থান ধর্মঘট এবং কর্মবিরতি পালন করবেন।
পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. মো. হাবিবুর রহমান সোহাগ এসব তথ্য জানান।
হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়া হবে। কথা দিয়ে কথা রাখেননি তারা। লিখিত প্রজ্ঞাপন না এলে শাহবাগ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
এর আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৫ জুলাই সকাল ১০টায় ঢাকার সব মেডিকেল কলেজের পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে বাগান গেটে সমবেত হবেন।
ঢাকার বাইরের মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে অবস্থান ধর্মঘট এবং কর্মবিরতি পালন করবেন।
এর আগে গত সোমবার (১০ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকেরা।
তবে, চলমান কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এ দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকেরা দুই বছর থেকে দীর্ঘ পাঁচ বছর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন এবং এই সময়টা তাঁরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দিতে বাধ্য। একই সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী, তাঁরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
এ জন্য তাঁরা সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন, যা একটা বড় শহরে থেকে সংসার পরিচালনার জন্য যৎসামান্য বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। বাড়ি ভাড়া ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে উচ্চ বাজার মূল্যের এই কঠিন সময়ে সংসার চালানো কষ্টের এবং অমানবিক বলে জানান তাঁরা। তাই দীর্ঘদিন ধরে ভাতা বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করে আসছেন।