সেদিন আর বেশি দূরে নেই যখন দেশের সব লেনদেনই হবে কিউআর কোডের মাধ্যমে এবং কোন কাগজের টাকা ছাড়াই, দরকার হবে শুধু একটি স্মার্টফোন আর ব্যাংকের অ্যাপ।
স্মার্ট ও ক্যাশলেস দেশ গড়ার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ব্যাংকসহ ১৬টি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রাজধানীর কিছু এলাকায় এরইমধ্যে এই সেবা চালু করেছে। কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড মূলত এক ধরনের ডিজিটাল বারকোড, যা মেশিনে পাঠযোগ্য অপটিক্যাল লেবেল। এ লেবেলেই সন্নিবেশিত থাকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য।
কিউআর কোড ব্যবহারের জন্য অবশ্য এর জন্য আপনার আগে থাকতে হবে বিকাশ, রকেটের, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপস বা ব্যাংকের এটিএম কার্ড। রাজধানীর এক মুচি শাপলা আকতার। এতদিন জুতা সেলাইয়ের কাজ নগদ টাকায় করলেও এখন তার বেশিরভাগ লেনদেন হচ্ছে এই কিউআর কোডের মাধ্যমে।
রাস্তার ঠিক বিপরীত পাশে ছোট ছোট খাবারের দোকান। যেখানে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খাবার খেয়ে কিউআর কোডের মাধ্যমে কাগুজে টাকা ছাড়াই লেনদেন করছেন ভোক্তারা। রাজধানীর মতিঝিলে ডাব, ঝালমুড়ি বিক্রেতা, ফল বিক্রেতার মতো প্রায় ১২০০ মার্চেন্ট এখন নগদ টাকা ছাড়াই দিচ্ছেন ক্যাশলেস লেনদেনের সেবা। যার যাত্রা শুরু হয়েছে গেলো মাসে।
এই কিউআর কোডের সাথে যুক্ত দশটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, তিনটি মোবাইল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আর তিনটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সংস্থা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেচাকেনায় বেশ সাড়া পাচ্ছেন তারা। রাজধানীর মতিঝিল এলাকার এমন উদ্যোগ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে ক্যাশলেস সেবার জন্য গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। মানুষ যতো আগ্রহী হবে ততোই সহজ হবে এই পদ্ধতিতে লেনদেন। ২০২১ সালে চালু হয় ‘বাংলা কিউআর’ কোড পেমেন্ট সিস্টেম। নির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাপের মাধ্যমে মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট অথবা প্রিপেইড কার্ড থেকে সব ধরনের আর্থিক লেনদেন করতে এই পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।